ক্রীড়া সংবাদদাতা
¯œায়ু ক্ষয় হওয়া ম্যাচ। টানটান উত্তেজনার পুরোটাই উপভোগ করেছে দর্শকরা। লো স্কোরিং ম্যাচে যা হয় তার সবটাই হয়েছে বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) সামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্সের ক্রিকেট মাঠে। শ^াসরুদ্ধকর ম্যাচে রেইনবো এ্যাথলেটিক ক্লাব ১ উইকেটে পরাজিত করে এম.এম.এস ক্রিকেট একাডেমীকে। সকালে টস জিতে রেইনবোর অধিনায়ক প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান এম.এম.এস ক্রিকেট একাডেমীকে। ৪৫.৫ ওভারে এম.এম.এস ক্রিকেট একাডেমী তোলে ১৩৫ রান। ওপেনার সৈকত এবং স্পিনার রানা খান একা লড়েছেন। সৈকত ৭ চারে আউট হন ৪০ রানে। এরপর মিডল অর্ডারে ধস। নিচের দিকে রানা খান কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন। রানা খান ফিরেন ৩ চার ও ২ ছয়ে ৩০ রানে। অধিনায়ক আরমান ২ চারে করেন ১৯ রান। মাহি ফয়সাল আউট হন ২ চারে ১৯ রানে। অতিরিক্ত রান আসে ১৮। রেইনবোর নাইম ৩টি এবং জুয়েল ও আবু তাওয়ামা পান ২টি করে উইকেট। সহজ টার্গেট পায় রেইনবো। কিন্তু ক্রিকেটের বৈচিত্র ক্ষণে ক্ষণে রঙ পাল্টায়। সহজ টার্গেট হয়ে পড়ে দুরূহ। ১৩৬ রান করতে গিয়ে ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলে রেইনবো ১১৭ রানে। শেষ উইকেট জুটি মাঠে কিপার তামিম ও স্পিনার জুয়েল। দাঁতে কামড় দিয়ে দু’ব্যাটার যা করলেন তা অবিশ^াস্য। খোদ রেইনবোর কেউই ভাবেনি তারাই জিতবে! অসাধারণ খেলেছেন কিপার তামিম। ২৫ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। সঙ্গী জুয়েল ৯ রান করলেও তামিমকে যোগ্য সহায়তা দিয়েছেন। অলরাউন্ডার আবু সাঈদ ৫ চারে ৩৫ রানের দায়িত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছেন। সাদ্দাম করেন ২২ রান ৩ চার ও ১ ছয়ে। জুয়েল ১ চারে অপরাজিত থাকেন ৯ রানে। শেষ উইকেট জুটিতে রান যোগ হয় ১৯ রান। এম.এম.এস এর নাফিজ হৃদয় ৩টি এবং আরমান ২টি উইকেট পান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর ঃ এম.এম.এস ক্রিকেট একাডেমী ঃ ১৩৫/১০(৪৫.৫ ওভার), তরিকুল সৈকত-৪০,রানা খান-৩০,আরমান-১৯,মাহি ফয়সাল-১৯। অতিরিক্ত-১৫। নাইম-৩/২৭,জুয়েল-২/১৯,আবু তাওয়ামা-২/২৭।
রেইনবো এসি ঃ ১৩৬/৯(৪৪.৪ ওভার), আবু সাইদ-৩৫,সাদ্দাম-২২,তামিম-২৫,জুয়েল-৯। অতিরিক্ত-১৮। নাফিস হৃদয়-৩/২৩,আরমান-২/৩২।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।